বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মানুষ বসবাস করে ঢাকা বিভাগে। আর সবচেয়ে কম জনসংখ্যা বরিশালে। বিভাগভিত্তিক জনসংখ্যা পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঢাকা বিভাগের গণনাকৃত জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ১০৭ জন। সমন্বয়কৃত জনসংখ্যা হলো ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯১৫, যা মোট সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার ২৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে মোট জনসংখ্যা ৯৩ লাখ ২৫ হাজার ৮১৮ জন। বরিশালে সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার হার ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
রবিবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে (পরিকল্পনা কমিশন চত্বর, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা) বিবিএস এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ড. শাহনাজ আরেফিন এবং বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ এর প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন শুমারিতে গণনাকৃত এবং পিইসির মাধ্যমে সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যার তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করেন।
বিবিএস জানিয়েছে, জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের গণনাকৃত মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। (পোস্ট ইনিউমারেশন চেক) এ (পিইসি) প্রাপ্ত ২ দশমিক ৭৫ শতাংশের প্রেক্ষিতে ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন যোগ হয়েছে। দেশের সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যা হলো ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যার ৬৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ পল্লীতে এবং ৩১ দশমক ৬৬ শতাংশ শহরে বাস করে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা গত বছরের ১৫ থেকে ২১ জুন সময়সীমায় পরিচালনা করা হয়। শুমারি সম্পন্নের মাত্র ১ মাসের মধ্যে ২৭ জুলাই ২০২২ প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে দেশের গণনাকৃত মোট জনসংখ্যার হিসাব দেওয়া হয়।
এছাড়া চট্টগ্রামে ৩ কোটি ৪১ লাখ ৭৮ হাজার ৫৮১, খুলনায় ১ কোটি ৭৮ লাখ ১৩ হাজার ৯৫৭, ময়মনসিংহে ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫২৪, রাজশাহী বিভাগে ২ কোটি ৭ লাখ ৯৪ হাজার, রংপুরে ১ কোটি ৮০ লাখ ও সিলেট বিভাগে ১ কোটি ১৪ লাখ ১৫ হাজার ২১ জন বসবাস করেন বলে বিবিএস’র তথ্যে জানানো হয়েছে।