মন্দা মোকাবিলায় সরকার সজাগ আছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের অর্থনীতি এখনও গতিশীল আছে, নিরাপদ আছে, সেটুকু অন্তত আমি বলতে পারি।বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে যশোরে বিএএফ অ্যাকাডেমিতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে দেশবাসীকে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একথা বলে আশ্বস্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনাভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেরও অর্থনৈতিতেও অনেকটা টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। ডলার সংকট, রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। ব্যাংকে নগদ টাকার সংকটের কথাও বলছেন কেউ কেউ। এমন পরিস্থিতিতে মন্দা মোকাবিলায় সরকার সজাগ আছে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক কাজ আমরা করে যাচ্ছিলাম, তবে কোভিড-১৯ এবং ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন, যার কারণে সারা বিশ্বে মন্দা দেখা দিয়েছে, কিন্তু এই মন্দা থেকে যেন উত্তরণ ঘটে, সে বিষয়েও আমরা যথেষ্ট সজাগ। আমাদের অর্থনীতি এখনও গতিশীল আছে, নিরাপদ আছে, সেটুকু অন্তত আমি বলতে পারি।
তিনি বলেন, বিমান বাহিনীর নিজস্ব জনবল ও অর্জিত প্রযুক্তির মাধ্যমে পরীক্ষামূলক বিমান নির্মাণের একটি প্রকল্প চলছে। এগুলো যদি করতে পারি, তাহলে আমাদের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।দেশের দুর্যোগের সময় বিমান বাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জনগণের পাশে দাঁড়ায় বলে তাদের ধন্যবাদ জানান সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের আস্থা, বিশ্বাস, যেকোনো যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য একান্তভাবে দরকার। তা ছাড়া আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব-এই নীতি আমরা বিশ্বাস করি, কিন্তু তারপরেও দক্ষতার দিক থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমাদের সব ধরনের উৎকর্ষতা বজায় রেখে চলতে হবে। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে। দেশ এবং দেশের জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ থাকতে হবে।
এদিকে সকালের কর্মসূচি শেষে দুপুর ২টায় যশোরের শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা।জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, আজকের জনসভায় ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলেছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। যশোর শহরজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পথে পথে তোরণ, ব্যানার, পোস্টার দেওয়া হয়েছে।