বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন




আইএমএফের পরামর্শ একসঙ্গে মানা যাবে না: এনবিআর চেয়ারম্যান

আউটলুকবাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ২:১৩ pm
National Board of Revenue NBR Chairman Abu Hena Md. Rahmatul Muneem জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম
file pic

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, এনবিআর যেখানে করছাড় কিংবা সাপোর্ট দিয়ে আসছে, সক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা কমানো হবে। আমরা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে (আইএমএফ) বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। তাদের সবকিছু একসঙ্গে মানা যাবে না।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর ভ্যাট দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সবাই কর অব্যাহতি বললেও আমরা সেটাকে লজিস্টিক সাপোর্ট বলে থাকি। এ ধরনের অর্থনৈতিক পলিসি প্রতিটি দেশেই রয়েছে। আইএমএফ যেটা বলে আসছে, সেটা হলো ভর্তুকি কমানো। নগদ প্রণোদনা ও ভর্তুকি এটা এনবিআরের বিষয় নয়। ভর্তুকি আসলে এক ধরনের সাপোর্ট। আমরা ভর্তুকিকে সাপোর্টের পর্যায়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু যারা এসব পরামর্শ দেয়, তাদের দেশে ভর্তুকি আরও বেশি দেয়। বিশেষ করে জাপান ও ইউরোপে ভর্তুকি ছাড়া কৃষি উৎপাদন হয় না। তারা হয়ত ভিন্ন ফর্মে ভর্তুকি দিয়ে থাকে।

তিনি বলেন, আমরা এসব সাপোর্ট ধাপে ধাপে কমিয়ে আনব, যাতে আমাদের উৎপাদনে ধস না নামে। সেটা আইএমএফও জানে। আমরা তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। একসঙ্গে সবকিছু মানা যাবে না। একইভাবে এনবিআরও যেখানে করছাড় কিংবা সাপোর্ট দিয়ে আসছে, সক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পলিসি সাপোর্টের ক্ষেত্রে এনবিআর এক জায়গায় স্থির থাকে না। প্রতি বছর বাজেটে সাপোর্ট দিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে আইএমএফ থেকে ৪৫০ কোটি বা সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আইএমএফের সঙ্গে সরকারের কর্মকর্তা পর্যায়ে প্রাথমিক সমঝোতা হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে ঋণ প্রস্তাবের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর সংস্থাটির পর্ষদের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আইএমএফ থেকে জানানো হয়। সাত দফায় পুরো ঋণ ছাড় করতে সময় লাগবে ৪২ মাস।

ভ্যাট অটোমেশন কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চাইলে রহমাতুল মুনিম বলেন, এক্ষেত্রে ভ্যাট দাতা ও এনবিআরের কর্মকর্তাদের অভ্যস্ততা অন্তরায়। ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাধারণ ভ্যাটদাতারা এখনও অভ্যস্ত হয়ে ওঠেননি। ভ্যাট অটোমেশন প্রকল্পের সফলতা যাচাইয়ে আগামীতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তাতে এর সফলতা ও আপগ্রেডেশন নিয়ে আলোচনা হবে।

তিনি বলেন, বিশ্ব বা অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সঙ্গে রাজস্ব আহরণের সম্পর্ক থাকেই। এমন পরিস্থিতিতে রাজস্ব আহরণে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। আমরা এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেও রাজস্ব আহরণে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। আমরা রাজস্ব আহরণের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার চেষ্টা করছি। সেটি ধরে রাখার চেষ্টা করব, যাতে রাজস্ব বিভাগের ওপর দোষ না আসে।

অনুষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, এনবিআরের আহরিত অর্থের ৩৭ শতাংশেরও অধিক আহরিত হয় ভ্যাট খাত থেকে। গতবারের চেয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে। ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি ১৭ শতাংশের বেশি। আগামী ১০ ডিসেম্বর ১২তম ভ্যাট দিবস উপলক্ষে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সেমিনার ও সেরা ভ্যাটদাতাদের সম্মাননা অনুষ্ঠিত হবে। ওই অনুষ্ঠানে নয়টি প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট সম্মাননা দেওয়া হবে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল উপস্থিত থাকবেন।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD