নির্বাচন ছাড়া সংসদের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর বিষয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. আ ক ম জামাল উদ্দিনের বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বুধবার শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. জিনাত হুদা সাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমনটাই জানানো হয়। গত সোমবার শিক্ষক সমিতি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে নির্বাচন ছাড়া সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানোর দাবি করেন জামাল উদ্দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রফেসর জামাল উদ্দিনের এমন বক্তব্যের পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে শিক্ষক সমিতি। এরপরই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটি। আর জামাল উদ্দিনের বক্তব্যকে শিক্ষক সমিতির বক্তব্য বলে প্রচারেরও প্রতিবাদ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সমাবেশে ড. আ ক ম জামাল উদ্দিনের যে বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে তা একান্তভাবে ড. আ ক ম জামাল উদ্দিনের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সমাবেশে সকল মত ও পথের শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের মত নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রকাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সকল সময়ই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান করে এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষে দৃঢ় ভূমিকা পালন করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সুতিকাগার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী এসকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। সুতরাং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সমাবেশে যে বক্তব্য ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন রেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তা সমর্থন করে না।
এটি তার ব্যক্তিগত বক্তব্য, শিক্ষক সমিতির বক্তব্য নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বিশ্বাস করে সকল দল ও জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ও এ দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে।
এখানে উল্লেখ্য যে, ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদেরও সদস্য নন। সুতরাং, শুধুমাত্র ড. আ ক ম জামাল উদ্দিনের বক্তব্যকে যেভাবে শিক্ষক সমিতির ব্যানারে উপস্থাপন করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তার প্রতিবাদ জানাচ্ছে।