শীত যাই যাই করেও যাচ্ছে না। রাতের দিকে হালকা ঠান্ডা পড়লেও সারাদিন বাইরে গরম থাকে। এমন আবহাওয়ায় ছোট বড় সবাই অসুস্থ হচ্ছেন দ্রুত। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে জ্বরে। সন্তানের জ্বর নিয়ে বাবা মাকে পড়তে হচ্ছে বিপদে।
শিশুর গা যদি বেশ গরম থাকে, সন্তান যদি অস্বস্তিতে কান্না করে, তাহলে ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে পারেন। যদি তাপমাত্রা খুব বেশি না হয়, তাহলেও এই ঘরোয়া দাওয়াই মানলে শিশু অনেকটা বিপদমুক্ত থাকবে।
তবে তাপমাত্রা যদি ১০২-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা এর বেশি হয়, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাপমাত্রা যদি না কমে। শরীরে র্যাশ বা এ জাতীয় কিছু দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
ঘরোয়া উপায়ে শিশুর জ্বর কমানোর উপায়
পর্যাপ্ত তরল খাবার: শিশুর জ্বর হলে তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। কেননা, জ্বর হলে শিশুর শরীর থেকে দ্রুত তরল কমতে থাকে। এতে ডিহাইড্রেশন শুরু হয়। পানি, ডাবের পানি, চিকেন স্টক, ফলের জুস, শরবত ইত্যাদি নিয়ম করে খাওয়ান। তবে ভুল করেও চা কিংবা কফি সন্তানকে খাওয়াবেন না। এতেও ডিহাইড্রেশন তথা পানিশূন্যতা দেখা দেবে।
কুসুম গরম পানিতে গোসল: জ্বর কমাতে শিশুকে কুসুম গরম পানিতে গোসল করাতে পারেন। মনে রাখুন, ঠান্ডা পানিতে নয়, কুসুম গরম পানিই জ্বর কমাতে সহায়ক। ঠান্ডা পানিতে গোসল করালে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে।
জ্বরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে কুসুম গরম পানিতে পরিষ্কার কাপড় বা তোয়ালে ভিজিয়ে ভালো করে নিঙড়ে নিন। এরপর তা দিয়ে শিশুর পুরো শরীর মুছে দিন। এতে সন্তান স্বস্তি পাবে।
ঢিলেঢালা কাপড়: জ্বর কমাতে শিশুকে আঁটসাট কাপড় না পরিয়ে, খোলামেলা কাপড় পরান। ঢিলেঢালা কাপড় পরালে শিশু অস্বস্তিবোধ করবে না। পোশাকের ভেতর বাতাস চলাচল করবে। এতে অনেকটাই জ্বর কমবে।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম: একেকজন শিশুর শারীরিক অবস্থা একেক রকম। কোনো কোনো শিশু দ্রুতই দুর্বল হয়ে পড়ে, আবার অনেকে অপেক্ষাকৃত শক্ত থাকে। যাই হোক না কেন, জ্বর হলে সন্তানের পূর্ণ বিশ্রামের বিষয়টি মাথায় রাখুন। সঠিক বিশ্রাম শিশুর সুস্থতায় সহায়ক।
ফ্যানের নিচে রাখুন: শিশু অসুস্থ হলে তার ঘরের ফ্যান বন্ধ রাখবেন না। হালকা করে ফ্যান ছেড়ে রাখুন। আর অবশ্যই তাকে মশারির ভেতর রাখুন। নয়তো মশার কামড়ে তার ক্ষতি হতে পারে।
ঘরোয়া দাওয়াই মেনেও যদি জ্বর না কমে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সিরাপ কিংবা ট্যাবলেট খাওয়ান। এর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন ফলমূল ও অন্যান্য খাবার খাওয়াতে পারেন।
সূত্র: হ্যালো ডক্টর, কিডস হেলথ, ওয়েব এম