শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন




সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময়

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

আউটলুকবাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২ ৩:১০ am
ওয়াশিংটন US Ambassador Peter D. Haas United States Ambassador মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকা North America United States United State usa
file pic

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচনে কে জিতলো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তা কোনো বিষয় নয়। তবে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। তার দেশ কোনো দলের বিরুদ্ধে বা কোনো দলের পক্ষে নয়। মঙ্গলবার সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত সভায় সঞ্চালক ছিলেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি, দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম। সভায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, দৈনিক মানবজমিন এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমান, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ইত্তেফাক-এর সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, দেশ রূপান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তফা মামুন এবং ঢাকা ট্রিবিউনের সহযোগী সম্পাদক আবু সাঈদ আসিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

সম্পাদক পরিষদের এক বিজ্ঞপ্তিতে সভার আলোচনার বিষয় জানানো হয়। সভায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সব সংস্থাকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে অবশ্যই যথাযথ ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে মিডিয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশের গণমাধ্যম যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে তা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপে তুলে ধরে সম্পাদক পরিষদ। বলা হয় শুধু কঠোর আইন নয়, গণমাধ্যমের মালিকানাও অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেও অধিকার লঙ্ঘন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতের বিষয়ে অব্যাহত চাপ থাকে। এসব নিশ্চিতে কাজ করার জন্য প্রতিষ্ঠান আছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে সে বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর কেউ আগের অবস্থায় বা তার চেয়ে ভালো নেই। তবে কিছু দেশ অধিক পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রেখে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে তার ওপর জোর দেন। এক্ষেত্রে দক্ষতা উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে পণ্যে বৈচিত্র আনার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন। বলেন, এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, কীভাবে দুই দেশের মাঝে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা যায় সেই আলোচনা। এজন্য আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত সেটিও ভাবতে হবে। এ সময় তিনি বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়ার পক্ষে মত দেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন-সংক্রান্ত কার্যক্রমে বিনিয়োগ করে থাকে। কিন্তু তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয় জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সের (জিএসপি) নীতিমালার আওতায়। যেখানে বাংলাদেশ প্রবেশাধিকার হারিয়েছে। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য যেখানে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তবে সামগ্রিক শ্রমঅধিকার পরিস্থিতি ওইসব সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা।

খুব দ্রুত সময়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন হবে এমন প্রত্যাশা না রেখেই তাদের জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত উন্মুক্ত করার বিষয়ে প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রেখে তাদেরকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার জান্তাকে চাপ দিতে পারে না যুক্তরাষ্ট্র। যদিও তাদের প্রত্যাবাসন হওয়া দরকার। তিনি আরো বলেন, আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে তারা যেন প্রতিশ্রুতির অভাবে হতাশাগ্রস্ত না হয়ে পড়ে।




আরো






© All rights reserved © 2022-2023 outlookbangla

Developer Design Host BD