খেরসনে রাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, রাশিয়ান বাহিনী খেরসন ছেড়ে যাওয়ার পর তদন্তকারীরা চার শতাধিক যুদ্ধাপরাধের ঘটনা উন্মোচন করেছেন।তিনি বলেছেন, সেখানে সাধারণ নাগরিক ও সৈন্যদের দেহ পাওয়া গেছে। খবর বিবিসির।বিবিসি এ খবর যাচাই করতে পারেনি। রাশিয়া সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্যবস্ত করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।এদিকে খেরসনে কারফিউ জারি করেছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ। শহরের ভেতরে বাইরে ভ্রমণ সীমাবদ্ধ করেছে।
জেলেনস্কি তার ভিডিও ভাষণে বলেন, খেরসন অঞ্চলে রাশিয়ান সেনাবাহিনী আমাদের দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো একই নৃশংসতা রেখে গেছে, যেখানে তারা প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিল।‘আমরা প্রত্যেক খুনিকে খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনব। কোনো সন্দেহ নেই।’ যোগ করেন জেলেনস্কি।যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বুচা, ইজিয়ুম এবং মারিউপোলসহ এলাকায় গণকবর পাওয়া গেছে। ইউক্রেন এই নৃশংসতার পিছনে রুশ সেনাদের দায়ী করেছে।
জাতিসংঘের একটি কমিশন গত মাসে বলেছে যে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং রাশিয়ার বাহিনী আক্রমণের শুরুতে ‘বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী।ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর থেকে খেরসনই ছিল একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী যা রাশিয়ার দখলে ছিল।সেপ্টেম্বরে ক্রেমলিনে এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই অঞ্চলটিকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।
কিন্তু শুক্রবার ইউক্রেনের সেনারা খেরসন শহর মুক্ত করে। ইউক্রেনের পতাকা ওড়ানো জনতা কিয়েভের সৈন্যদের আলিঙ্গন ও চুম্বন দিয়ে স্বাগত জানায়।প্রায় ৩০ হাজার রাশিয়ান দখলদার সৈন্য পশ্চাদপসরণ করার পর কর্মকর্তারা খেরসনের প্রশাসন পরিচালনায় ফিরে এসেছেন।ইউক্রেনীয়রা এটিকে একটি বড় জাতীয় বিজয় এবং ক্রেমলিনের জন্য অপমান হিসেবে দেখছে।কিছু রাশিয়ান সৈন্য ছদ্মবেশে পিছনে থেকে থাকতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে,ইউক্রেনীয় বাহিনী ইন্টারনেট এবং টেলিভিশন সংযোগ পুনরুদ্ধার করার জন্য কাজ করছে।