টুর্নামেন্ট শুরুর আগে যে দলটাকে কেউ গোনায় ধরতো না, সেই দল সিলেট স্ট্রাইকার্স এখন প্রতিযোগিতার ফাইনালে। টুর্নামেন্টের মাঝপথেও বিদেশি খেলোয়াড় সংগ্রহে যারা পিছিয়ে ছিল, যুতসই কম্বিনেশন দাঁড় করানোই কঠিন হয়ে যাচ্ছিল, তারাই এখন শিরোপা থেকে এক পা দূরে। দল যেমনই হোক মাঠে ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সিলেট প্রথমবার উঠেছে বিপিএল ফাইনালে। যার নেপথ্যের নায়ক বিপিএলের চারবারের চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
এই দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পুরোনো সব ব্যর্থতা ঝেড়ে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিচ্ছেন মাশরাফি। বিপিএলে মাশরাফি আর ম্যাজিক একই শব্দের পরিপূরক। বিপিএলে আগের আট আসরের চারবারের শিরোপা সেই কথাই বলছে। তবে মাশরাফি উড়ছেন না। বলছেন, সব সাফল্য সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত।
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেছেন, ‘কোনো ম্যাজিক নেই, সব আল্লাহর রহমত।’ বিপিএলে এর আগে যতগুলো ফাইনাল খেলেছেন মাশরাফি, সবকটিতেই শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছেন। সাফল্যের এ পরিসংখ্যানে তো বলাই যায়, সিলেটের প্রথম শিরোপা আসতে যাচ্ছে। তবে ফাইনাল ম্যাচ বলেই মাশরাফি বেশ সতর্ক, ‘হারিনি বলে যে হারবো না, তা নয়। আবার হেরে যাওয়ার জন্যও নামবো না। আগে যা হয়েছে, তা স্মরণ করে লাভ নাই। পরশু আমাদের একটা ফাইনাল আছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’
নামে-ভারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স থেকে অনেক পিছিয়ে সিলেট। তবে সিলেট নিজেদের স্নায়ু নিয়ন্ত্রণে রেখে যেভাবে ফাইনালে এসেছে, যে প্রক্রিয়ায় সফল হয়েছে সেটা ধরে রাখতে পারলেই বড় সাফল্য পাবে বলে বিশ্বাস করেন মাশরাফি, ‘যদিও কুমিল্লা দল অনেক অনেক ভালো, এই টুর্নামেন্টের যে কোনো দল থেকে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাদের সঙ্গে আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারবো না। আমরা পুরো টুর্নামেন্টে যে স্বাভাবিক খেলা খেলে এসেছি, নিজেদের দিকে যদি মনোযোগ ঠিক রাখতে পারি, গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোয় যদি অবদান ঠিকমতো রাখতে পারি, তাহলে কেন নয়? তবে সুনির্দিষ্ট করে আমার ম্যাজিক বলে কিছু নেই। ভালো খেলছে ছেলেরা। আশা করি, আরেকটা ম্যাচ ভালো খেলবে।’
মাঠে সফল হওয়ার জন্য কোনো ম্যাজিক কাজ করে না। সফল হওয়ার জন্য ঝুঁকি নেওয়া জরুরি। সেই কাজ করেই সফল মাশরাফি, ‘সফল হওয়ার পরে আসলে বলাটা খুব সহজ। আমিও ঝুঁকি নিয়েছি, আমার ব্যাটসম্যানদের নিরাপদ রাখতে চেয়েছি। আমিই ঝুঁকি নিয়েছি। আসলে কোনো ম্যাজিক নেই।’