আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের নিষিদ্ধ হওয়াকে দেশের জন্য লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
শনিবার দেশ রূপান্তরকে তিনি বলেন, ‘দিনের পর দিন যে তারা (বাফুফে) অন্যায়গুলো করেছে, এটা আজ প্রমাণিত। তারা যে আমাদের ভাবমূর্তি সংকটে ফেলেছে, এতে আমরা খুবই লজ্জিত এবং আমি মনেকরি এই ধরনের মানুষদের বিচার হওয়া উচিত।’
জাহিদ আহসান রাসেল এটা ভেবে স্বস্তি পাচ্ছেন যে নিষেধাজ্ঞা একজন ব্যক্তির ওপর দিয়ে গেছে। পুরো দেশকে নিষিদ্ধ করা হয়নি, ‘ফুটবল ফেডারেশন বা ফুটবলের সকল কার্যক্রমগুলো ফিফা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। যে কারণে সরকার কখনোই তাদের কোনো কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করে না। কিন্তু সবচেয়ে কষ্ট লেগেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা ফিফা থেকে যখন অর্থিক অনিয়মের জন্য তাদের কোনো ব্যক্তিকে সাসপেন্ড করেছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার।’
‘বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে তারা কিন্তু মারাত্মকভাবে নষ্ট করেছে। আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই, তারা (ফিফা) ব্যক্তির ওপর দিয়ে বিষয়টি নিয়েছে। যদি পুরো বাংলাদেশের ফুটবলকেই নিষিদ্ধ করতো, তাহলে সেটা হলো আরও বেশি লজ্জার।’- বলেন প্রতিমন্ত্রী।
সাধারণ সম্পাদকের এই নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে এটা অন্তত পরিস্কার, পুরো বাফুফের কর্মকাণ্ড মোটেও স্বচ্ছ নয়। সরকার এখানে ফেডারেশনটির ওপর কোনো পদক্ষেপ নেবে কিনা, জানতে চাওয়া হয়েছিল ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কাছে।
এ সময় তিনি বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদকের কাজের কারণে আমরা এমনিতেই বিপদে পড়েছি। আমাদের হস্তক্ষেপ্তের কারণে যদি আরও বড় ক্ষতি হয়, সেটা আমরা কেউই চাই না। ফিফা যদি অনুরোধ করে, তাহলে অবশ্যই অধিকতর তদন্ত করে পরবর্তিতে ব্যবস্থা নেব। তবে ফুটবলের ওপর আমরা কোনোভাবেই অযাচিত হস্তক্ষেপ করবো না।’
সোহাগকে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো শাস্তি দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বসবো। পরবর্তীতে যা করার সিদ্ধান্ত নেব। যদি ফিফার সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন হয় সেটাও করবো।’