আগস্ট মাসের পর থেকে অস্থির বাজার। ঊর্ধ্বমুখী দ্রব্যমূল্যের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। করোনা মহামারির ধাক্কা সামাল দিতে না দিতেই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য ও ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় নতুন সংকট তৈরি হয়েছে। বাড়তি বাজার দরের এই পরিস্থিতিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। তবে শীতকালীন সবজির কিছুটা প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। শিম, বেগুন, লাউসহ বেশ কয়েকটি সবজির দাম কমেছে ১০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। এছাড়া রাজধানীর বাজারে মসলা জাতীয় নিত্যপণ্য পেঁয়াজ রসুন ও আদার দামও কমেছে। কমেছে ব্রয়লার মুরগির দামও।শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টমেটো প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, মূলা ৫০ থেকে কমে ৩০ টাকা কেজি, শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ থেকে কমে ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ থেকে ৬০ টাকা, পটল প্রতি ৬০ থেকে কমে ৩০ টাকা কেজি, গাজর প্রতিকেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, দেশি আলু ৩০ টাকা, বগুড়ার লাল আলু ৪০ টাকা, নতুন আলু প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁঢ়স ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা।এছাড়া, চালকুমড়া প্রতিটি ৪০ টাকা, লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৬০ থেকে ২০ টাকা কমে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ থেকে ২০ টাকা কমে ৪০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ১০ টাকা কমে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা ড়েছে, পাঙাশ প্রতিকেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, ছোট টেংরা প্রতিকেজি ৪০০ টাকা, রুই মাছ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট বোয়াল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, টাকি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি, পাবদা ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, ছোট সাইজের কাতল ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি, শোল ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি, শিং মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, রূপচাঁদা ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা, ছোট কাচকি মাছ ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা।এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৩০০ থেকে ১৬০০ টাকা কেজি, দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ১৮০০ টাকা কেজি।
ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে কমে ১৭০ টাকা, সোনালি মুরগির কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, কক প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭০০ টাকা, খাসির মাংস ১০০০ টাকা কেজি।তবে কিছুটা দাম কমেছে মুরগির ডিমের। প্রতিটি ডিম ১৩ টাকা থেকে ১ টাকা কমে ১২ টাকা, এক হালি ৫০ থেকে ২ টাকা কমে ৪৮ টাকা ও ডজন ১৫০ টাকা থেকে ১০ টাকা কমে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পশ্চিম রাজাবাজার এলাকার ব্যবসায়ী মো. তানহা বলেন, ‘বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম কমছে। ডিম প্রতি হালিতে ২ টাকা কমেছে। পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬০ থেকে ১০ টাকা কমে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আমদানি পেঁয়াজের কেজি মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।’তানহা বলেন, ‘দেশি রসুন প্রতিকেজি ১০ টাকা কমে মান ভেদে ৭০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি আদা প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ২২০ থেকে ২৪০ টাকা।’
পরিবাগ এলাকার ক্রেতা রুহুল আমিন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘প্যাকেট আটা প্রতি কেজি ৭০ টাকা, প্যাকেট ময়দা প্রতি কেজি ৮০ টাকা ও খোলা আটা ৬৫ টাকা কেজি, খোলা ময়দা ৭৫ টাকা বিক্রি যাচ্ছে। এই দামে তো চালও কেনা যায়।’হাতিরপুল এলাকার ক্রেতা মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘সবজির দাম কিছুটা কমলেও বাজারের অস্থিরতা কমছে না। সয়াবিন তেল কমেছিল, এখন আবার বাড়িয়ে দিল। আমার মনে হচ্ছে সরকার আর ব্যবসায়ীদের একটা সমাধানে গিয়ে বাজার পরিস্থিতি শান্ত করা খুবি জরুরি।’