বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি দেশের বেসরকারি খাতের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। বৃহস্পতিবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং বিপর্যস্ত সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থায় অবনতি হওয়ার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জসমূহের মধ্যে আমাদের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, প্রাথমিক জ্বালানি সংকট। যেহেতু আমাদের প্রাথমিক জ্বালানির উৎস মূলত আমদানি নির্ভর।
এতে আরও বলা হয়, বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থাসমূহের দাবির মুখে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য ১৫.৪৩ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেশের বেসরকারি খাতে এবং বিদ্যুৎ নির্ভর শিল্প কারখানার সাবলীল অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে। ইতিমধ্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, টাকার অবমূল্যায়নসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে আমাদের বেসরকারিখাত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং এমতাবস্থায় বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির এ ধরনের পরিকল্পনা বিদ্যমান পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যের অস্থিরতার কারণে সরকারকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে উল্লেখ করে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার আশা করেন, সরকার স্থানীয় শিল্প এবং বেসরকারি খাতের ওপর যেন কোনো রকম নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জ্বালানির মূল্য নির্ধারণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। যেহেতু এটা দৃশ্যমান যে বাংলাদেশ সরকার প্রতি মাসেই জ্বালানির মূল্য সমন্বয় করার পরিকল্পনা করছে এবং সেই সংক্রান্ত একটি কৌশল নির্ধারণের কাজ চলছে। তাই ঢাকা চেম্বারের সভাপতি সরকারের কাছে আহ্বান করেন, সরকার যেন বিদ্যুতের মূল্য সহনশীলভাবে ও ক্রমান্বয়ে বাড়ায়। যাতে করে, বেসরকারি খাত অপ্রত্যাশিত বর্ধিত ব্যয়ের বোঝা এড়াতে পারে।
ব্যারিস্টার সাত্তার মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল্য বৃদ্ধির হয়তো কোনও বিকল্প নেই, তবুও সরকারের একটি অনুমানযোগ্য মূল্য নির্ধারণ নীতিমালা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যাতে করে এ ধরনের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট প্রভাব সম্পর্কে বেসরকারি খাত আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণসহ তাদের ব্যবসা পরিচালনায় কৌশলি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। যদিও বিদ্যমান পরিস্থতিতে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে, তবে চলমান পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে সরকার যেন আবার এই প্রস্তাবিত বর্ধিত মূল্য হ্রাসের উদ্যোগ নেয়।