রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৯:৫৯ অপরাহ্ন




যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুল্কমুক্ত তুলা চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৩ ৮:২২ pm
Tipu Munshi Minister of Commerce বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
file pic

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। বাংলাদেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৮২ ভাগ আসে পোশাক রপ্তানি করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৃহৎ তুলা উৎপাদনকারী দেশ। পোশাক কারখানায় ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তুলা আমদানি করে। পোশাক রপ্তানি বেশি করতে হলে বেশি তুলা আমদানি করতে হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বৃহৎ রপ্তানিবাজার। পোশাক কারখানায় ব্যবহারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তুলা আমদানিতে ডিউটি ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিলে আমাদের এ শিল্পের জন্য সুবিধা হয়।’

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকায় হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘চতুর্থ গ্লোবাল কটন সামিট বাংলাদেশ-২০২৩’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আইয়ুবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হেলেন লা ফেভ, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাউলো ফারনানদো ডায়াস ফেরিস, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার, এফবিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন এবং বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ফারুক হোসেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানি করতে বাংলাদেশের ৯ মিলিয়ন বেল্ট তুলা প্রয়োজন হয়। মাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার বেল্ট তুলা দেশে উৎপাদন হয়, যা মোট চাহিদার প্রায় ১.৬ ভাগ। বাকি তুলা বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশ তুলা উৎপাদন বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে আরও প্রচেষ্টা চালানো হবে। এ উৎপাদন দ্বিগুন হলেও বিপুল পরিমাণ তুলা আমদানি করতে হবে। তুলা আমদানিতে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দিতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আগামী দুই বছরের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে চাইলে বিপুল পরিমাণ তুলার প্রয়োজন হবে। তুলার উৎপাদন বাংলাদেশে কিভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে ঠিক করা হবে। কম্বোডিয়ার মতো পৃথিবীর অনেক দেশে জমি অব্যবহৃত থাকে। সেখানে মানুষ কম, চাষাবাদের প্রয়োজন হয় না। আমাদের দেশে দক্ষ জনবল আছে। এ ধরনের জমি লিজ নিয়ে যদি সেখানে তুলা উৎপাদন করে দেশে আনা যায়, তা দিয়ে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD