বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন




বয়স অনুযায়ী কেমন হবে রোজার খাবার?

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪ ৮:৫৮ pm
Cooked rice steaming boiling boiled rice চাল চাউল ধান ভাত অন্ন চাল খাবার প্রধান খাদ্য রান্না সিদ্ধ সেদ্ধ Panta Ilish Panta_Ilish Cooked rice steaming boiling boiled rice Panta bhat Hilsa Fish Fried পান্তা ইলিশ চাল চাউল ধান ভাত অন্ন চাল খাবার প্রধান খাদ্য রান্না সিদ্ধ সেদ্ধ পান্তা ভাত পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ ইলিশ ভাজা মাছ
file pic

যে কোনো বয়সেই রোজা রাখা যায়। তবে সারাদিন উপবাসের পর ইফতার করতে বসে দেখতে হবে খাবার যেন খুব বেশি বা খুব কম না হয়ে যায়।
কিশোর-কিশোরীদের রোজার খাবার

ইফতারে যা থাকতে পারে– শরবত, লাচ্ছি, লাবাং বা বিভিন্ন ফলের জুস, ছোলা ভুনা, ঘুগনি, মুড়ি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, কাবাব, বেগুনি, সবজির চপ, জিলাপি, খিচুড়ি, হালিম, খেজুর ও অন্যান্য ফল। বিকল্প হিসেবে থাকছে ফ্রায়েড রাইস, নুডলস, চিকেন ফ্রাই, স্যুপ; সঙ্গে খেজুর ও অন্যান্য ফল। ফল খেতে না চাইলে ফলের কাস্টার্ড বা ফালুদা দিতে পারেন। ফ্রায়েড রাইসের সঙ্গে সবজি, ডিম ও মুরগির মাংস দিতে হবে। নুডলসের সঙ্গে সবজি, ডিম ও মুরগির মাংসও মন্দ নয়।

সন্ধ্যারাতে যা থাকতে হবে– ভাত খেতে না চাইলে রুটি বা লুচি এবং মাংস দেওয়া যেতে পারে। সঙ্গে সালাদ দিতে হবে। দুধ-সেমাইও খেতে পারে তারা। সন্ধ্যারাতে মাছ থাকলে ভালো হয়।

ভোররাতে যা থাকতে হবে– ভাত, মাংস, সবজি, ডাল, দুধ দিতে হবে। এ সময় দুধ-কলা-ভাতও চমৎকার খাবার। তারা যাতে সেহরির খাবার বাদ না দেয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনবারের যে কোনো সময় একবার ডিম খেতে দিতে হবে।

মধ্যবয়সে রোজার খাবার

ইফতারের খাবার ভাজাপোড়া বাদ দিয়ে বেছে খেতে হবে। দুধ ও ডিম তিনবারের যে কোনো একসময় খেতে পারলে ভালো হয়। ইফতারে কাঁচা ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, ঘুগনি, মুড়ি, হালিম, খেজুর, শরবত, লাচ্ছি, মাঠা, মাঝেমধ্যে ফালুদা বা বিভিন্ন ফলের জুস খেতে পারে। আবার কোনো কোনোদিন খিচুড়ি বা দই-চিড়াও খেতে পারে।
সন্ধ্যারাতের খাবার– ভাত, মাছ, শাকসবজি অথবা রুটি, মাছ, সবজি।

ভোররাতের খাবার– ভাত, মাছ বা মাংস, ডাল, দুধ এক কাপ। যদি হজমের সমস্যা থাকে তাহলে আধা কাপ দই খেতে পারেন।

বার্ধক্যে রোজা

ষাটোর্ধ্বদের ইফতার, সন্ধ্যারাতের খাবার ও সেহরির খাবার হতে হবে একটু ভিন্নতর।
ইফতারের খাবার– চিড়া ভেজানো, দুধ, কলা, সেদ্ধ ডিম, খেজুর, শরবত অথবা নরম খিচুড়ি, সেদ্ধ ডিম, শরবত, খেজুর, ফল অথবা ঘুগনি, বেগুনি, আলুর চপ, শরবত, পুডিং ইত্যাদি। খুব ঝাল খাবার তাদের না দেওয়াই ভালো।

সন্ধ্যারাতের খাবার– অল্প ভাত, মাছ ও সবজি, আলু ভর্তা।

সেহরির খাবার– ভাত, মুরগির মাংস, ডিম, সবজি, দুধ এক কাপ, হজমের সমস্যা থাকলে আধা কাপ দই দেওয়া যেতে পারে। অথবা দুধ-কলা-ভাত দিয়েও সেহরি সারতে পারেন।
লেখক : প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান, পুষ্টি বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD