শীতের মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। ক্রেতাদের অভিযোগ, শীতের মৌসুম থাকা অবস্থায়েই সবজির দাম বাড়তি।শুক্রবার রাজধানীর বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।এছাড়াও এ সপ্তাহে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের ডিমের দাম। তবে অপরবর্তিত রয়েছে মাছের দাম।
শুক্রবার সরজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রামপুরা কাঁচাবাজার, মালিবাগ বাজার, শান্তিনগর বাজারসহ ঢাকার বিভিন্ন বাজারে গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা বিক্রি হলেও এখন প্রতিকেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ডিমের হালিতে ৩ থেকে ৫ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকা, ডজন ১২৫ থেকে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সিম ৩০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ৫০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া কাঁচা মরিচের কেজি ১২০ টাকা, করোলা ৮০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, গাজর ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।অন্যদিকে, লাউ ৫০ থেকে ৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে দেখা গেছে, পাবদা প্রতিকেজি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, ছোট টেংরা ৪০০ টাকা, চাষের কই ২৫০ টাকা, রুই মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, টাকি মাছের কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ছোট বোয়াল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শোল মাছ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, ছোট কাতল ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, ছোট পাঙ্গাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, ছোট কাঁচকি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া দুই কেজি ওজনের নদীর পাঙ্গাশ ৬০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা, ছোট রূপচাঁদা ৭৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।৯০০-৯৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, ৭০০ গ্রামের ইলিশ ৮৫০ টাকা, ৬০০ গ্রামের ইলিশ ৭৫০ টাকা, সাড়ে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৫২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বাজারভেদে সোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৭০ টাকা ও গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।শান্তিনগর বাজারের সবজি বিক্রেতা শামিম আহমদ বলেন, ‘আসলে আমাদের কিছু করার নেই। আমদের বেশি দামেই ক্রয় করতে হয়।’
মালিবাগ বাজারের এক ডিম ক্রেতা বলেন, ‘গত সপ্তাহে যে ডিম ৪০ টাকায় কিনেছি সেই ডিম আজকে ৪৫ টাকা হালি কিনতে হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে, আবার নতুন করে সিন্ডিকেট তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।’রামপুরা এলাকার মুরগি বিক্রেতা বলেন, ‘মুরগির খাবারের দাম বেশি। এ কারণে খামারিরা দাম বাড়িয়েছে। তারা দাম বাড়ালে তো আমাদের কিছু করার থাকে না।’
রামপুরা এলাকার ক্রেতা নুরুল আমিন লেন, ‘শুক্রবার এলেই বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়ে যায়। আমি মনে করি, অতিরিক্ত দাম বাড়ায় বাজার কর্তৃপক্ষ দায়ী। কারণ সময় বুঝে তারা দাম বাড়ায়। শুক্রবার মানুষ একটু ফ্রি থাকে। ফলে বাজারে ভিড় জমায়। এই ভিড়ে বাজারের প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।’