অনেকটা আগেভাগে বিশ্বকাপ শেষ করা বাংলাদেশ দল এখন কাঁটাছেড়া বিশ্লেষণ ও মাঠের বাইরের ঘটনা নিয়ে আলোচনায়। গত কয়েক মাস ধরেই দেশের ক্রিকেটাঙ্গন ব্যস্ত সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব নিয়ে। সে বিষয়টা সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে আরও জোরালো হয়েছে বলে দাবি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবির)। বিশ্বকাপের আগে নতুন করে দুজনের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য কি না, এমন প্রসঙ্গ উঠতেই গণমাধ্যমের দিকেও আঙুল তোলেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু।
সাকিব-তামিম ইস্যুতে গণমাধ্যমেরও দায় দেখছেন টিুট, ‘এটার (বিশ্বকাপের আগে নানা ঘটনাপ্রবাহ) জন্য তাদেরকে (সাকিব-তামিম) যদি দোষারোপের আওতায় নিয়ে আসা হয়, তাহলে সেখানে আমাদের সংবাদমাধ্যমেরও ভূমিকা ছিল। এটা বলায় হয়তো আপনাদের কেউ আমাদের ওপর অসন্তুষ্ট হবেন। আমি বরাবরই বলি, সংবাদমাধ্যম আর আমরা সবাই একদিকে। আমাদের যেরকম ক্রিকেট নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে, আপনাদেরও এ সহযোগিতার জায়গাটা আছে।’
‘ক্রিকেট যদি থাকে, তখন আমরা সবাই থাকব। ক্রিকেট না থাকলে আমরা সবাই এ জায়গায় থাকতে পারতাম না। এ জায়গা থেকে চিন্তা করলে প্রশ্ন গুলো না ওঠানোই ভালো ছিল’, আরও যোগ করেন টিটু।
বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে উড়াল দেওয়ার দিন (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেটে ঘটে যায় আলোচিত দুই ঘটনা। শুরুতে নিজের বিশ্বকাপে না থাকা নিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক তামিম। একইদিন রাতে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সাকিবের বিস্ফোরক এক সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়। দেশের দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের এমন ভিডিও বার্তা ও সাক্ষাৎকারের রেশ অনেকদূর পর্যন্ত গড়ায়। এ নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
সাকিব এমন মন্তব্যের আগে বিসিবি থেকে কোনো অনুমতি নিয়েছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে টিটু বলেন, ‘(সাকিব সাক্ষাৎকার দিয়েছে) আমি ব্যক্তিগতভাবে জানতাম না। আমি সংবাদমাধ্যমে প্রথম দেখেছি। যখন আমরা এটা দেখতে পেয়েছি, তখন ইতোমধ্যে দল বিশ্বকাপ খেলতে চলে গেছে। যখন বিশ্বকাপ বা একটা টুর্নামেন্ট চলে তখন আমাদের ফোকাস থাকে শুধু ওই টুর্নামেন্টে। বাহ্যিক আলাপ-আলোচনার সুযোগ থাকে না। এখন দল এসেছে, আমরা রিপোর্ট পাওয়ার পর এগুলো আলোচনা হবে।’
এ ঘটনায় সাকিবকে শাস্তিরও মুখোমুখি করতে পারে বিসিবি। সাকিবের এমন সাক্ষাৎকার বিশ্বকাপ দলে প্রভাব রেখেছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে টিটু বলেন, ‘আমাদের শৃঙ্খলা কমিটি আছে। আমাদের রিপোর্ট পাওয়ার পর, এটা নিয়ে প্ল্যান অব অ্যাকশন যা-ই থাকবে সেগুলো ঠিক করা হবে। যদি শৃঙ্খলা কমিটি মনে করে, এ ধরনের কিছু করা দরকার, সে অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নেবে।’