বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৬ অপরাহ্ন




ডলার রেখে টাকা নেয়ায় বাড়ছে রিজার্ভ

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪ ৬:০৭ pm
Dollar রিজার্ভ Per capita income মাথাপিছু আয় Reserves Reserve রিজার্ভ remittance রেমিট্যান্স প্রবাসী আয় ডলার dollar
file pic

সাম্প্রতিক সময়ে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির কারণে ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে ভুগছে। এজন্য তারা বিভিন্নভাবে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ধার নিয়ে চলার চেষ্টা করছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে ২১৬ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এর ফলে কয়েকটি ব্যাংকের হাতে অতিরিক্ত ডলার এসেছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ডলার রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা নেওয়ার পরিমাণও বেড়েছে। এ কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও উত্থান হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গত সোমবার পর্যন্ত সময়ে ১৩৮ কোটি ডলার জমার রেখে টাকা ধার নিয়েছে। এর ফলে দেশের রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের তথ্য হিসাব করলে রিজার্ভ দাঁড়াবে ২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ আড়াই মাসের ব্যবধানে দেশের রিজার্ভ আবার ২১ বিলিয়ন ছাড়ালো।

এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি টাকার সঙ্গে ডলার অদলবদল বা সোয়াপ ব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এ ব্যবস্থার ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ডলার–টাকা অদলবদল করতে পারছে। সর্বনিম্ন ৭ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য টাকা-ডলার অদলবদলের এ ব্যবস্থা চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, বেশকিছু ব্যাংক ডলার জমা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছে। এসব ডলার জমার কারণে রিজার্ভ বেড়েছে। সামনে সেই ডলার ফেরত নিলে রিজার্ভ হয়তো কমতে পারে; তবে এর মধ্যে বিভিন্নভাবে রিজার্ভ বাড়বে।

এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ১১০ টাকা দরে ব্যাংকগুলো প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কিনছে। এই দামে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ডলার অদলবদল করেছে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার নিয়ে সমপরিমাণ টাকা দিচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে।

তথ্য অনুযায়ী, ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫০৮ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী এ রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৯৫ কোটি ডলার। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি মোট রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৫০৫ কোটি ডলারে। আর বিপিএম৬ অনুযায়ী, ওই দিন রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৯৩ কোটি ডলার। এরপর ২০ ফেব্রুয়ারি মোট রিজার্ভ বেড়ে ২ হাজার ৫৩২ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। আর আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, ওই তারিখে রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১৯ কোটি ডলার। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৭৪ কোটি ডলার। আর আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, এই রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াবে ২ হাজার ১৩০ বিলিয়ন ডলার।

গত দুই বছর ধরে দেশে ডলার–সংকট চলছে। এর ফলে রিজার্ভ কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। ডলার-সংকট সামাল দিতে আমদানি নিয়ন্ত্রণসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তাতে চাহিদা কিছুটা কমলেও ডলারের সংকট এখনো পুরোপুরি কাটেনি। ফলে আমদানি দায় মেটাতে এখনো প্রতি ডলারের জন্য ১২৩ টাকা পর্যন্ত দাম দিতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। আবার কিছু ব্যাংক ঘোষণার চেয়ে বেশি দাম দিয়ে প্রবাসী আয়ের ডলার কিনছে।

ডলারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংকে টাকারও সংকট চলছে। কারণ, ব্যাংকগুলোকে নগদ টাকা দিয়ে ডলার কিনতে হচ্ছে। আবার অনিয়ম-দুর্নীতির কারণেও তারল্যসংকটে পড়েছে কিছু ব্যাংক। তবে কোনো কোনো ব্যাংকের কাছে বাড়তি কিছু ডলারও রয়েছে। সেসব ডলার এখন তারা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়ে তার বিপরীতে সমপরিমাণ টাকা নিচ্ছে।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD