মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের নতুন নাম ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এই ভাইরাসটি এখন থেকে এমপক্স নামে পরিচিত হবে।
মাঙ্কিপক্স নামটি বর্ণবাদী এবং এখানে কলঙ্কজনক ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে অভিযোগ তুলে দীর্ঘদিন ধরেই ভাইরাসটির নাম পরিবর্তনের দাবি করা হচ্ছিল।
বিশেষজ্ঞ, দেশ এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার পর এখন এই ভাইরাস এবং রোগের নাম এমপক্স রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানায় ডব্লিউএইচও।
বলেছে, নামটি ইংরেজি ভাষাসহ অন্যান্য ভাষায়ও সহজেই ব্যবহার করা যাবে।
মানবদেহে সর্বপ্রথম ১৯৭০ সালে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। এক দশকের বেশি সময় আগে আটকে রাখা বানরের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এটির নাম মাঙ্কিপক্স রাখা হয়। তবে ডব্লিউএইচও তখন থেকেই এ ভাইরাসের একটি নাম দেয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছিল।
নামকরণের বেলায় বাণিজ্য, ভ্রমণ, পর্যটন বা প্রাণী কল্যাণের উপর এটির অপ্রয়োজনীয় নেতিবাচক প্রভাব হ্রাস করার প্রয়োজনীয়তা এবং যে কোনও সাংস্কৃতিক, সামাজিক, জাতীয় বা জাতিগত গোষ্ঠীর জন্য এটি যেন অসম্মানজনক না হয় তার উপর জোর দেয়া হয়েছে বলেও জানায় স্বাস্থ্য সংস্থাটি।
কোভিড-১৯ মহামারীর সময় মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের নানা ধরনকে গ্রিক বর্ণমালার বর্ণ ব্যবহার করে নামকরণ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।
এ বছর ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের ২৯টি দেশে মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল, কোথাও কোথাও জরুরি অবস্থাও ঘোষণা হয়।
যা নিয়ে ডব্লিউএইচও থেকেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল এবং গত জুলাই মাসে সংস্থাটি থেকে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। তবে গত কয়েকমাস ধরে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমতে শুরু করেছে।
যুক্তরাজ্যে গত মে মাস পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়। টিকা দেয়া শুরু হয়ে জুলাই মাসে সংক্রমণ চূড়ায় ওঠার পর তা কমতে শুরু করে।
এ বছর মাঙ্কিপক্স বা এমপক্সে আক্রান্তদের বেশিরভাগই সমকামী পুরুষ ছিলেন।