তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত চার হাজার ৩৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এ ছাড়া ধ্বংসস্তূতের নিচে চাপা পড়েছেন আরও বহু মানুষ। তাদের উদ্ধার করার জন্য হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
বিশ্বের বড় বড় দেশগুলো তুরস্কের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়াতে আহত ও নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।
তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন- ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত তিন হাজার ৮০০ মানুষ নিহত হয়েছেন (যদিও মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার জন)। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। অনেকে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। আল্লাহ আমাদের নিহত মুসলিম ভাইবোনদের শাহাদাতের মর্যাদা দান করুন, তাদের পরিবারকে ধৈর্যধারণের তাওফিক দিন। আহত-নিহতদের উদ্ধারকাজে যারা সহযোগিতা করছেন, আল্লাহ তাদের উত্তম বিনিময় দিন।
তিনি বলেন, মানুষ যে কত অসহায়, মাঝেমধ্যে এ ধরনের কিছু ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়। এসব ঘটনা প্রমাণ করে— আমাদের অর্থ-বিত্ত, ক্ষমতা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি মাটিতে মিশে যাওয়া এক মুহূর্তের ব্যাপার মাত্র; তবু আমাদের অহংকারের অন্ত নেই, দাম্ভিকতার শেষ নেই। দুনিয়ার মোহে আমরা অন্ধ হয়ে আছি।
প্রিয়নবী (স.)-এর ভাষ্যানুযায়ী কিয়ামতের আগে অত্যধিক ভূমিকম্প হবে। কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে বড় বড় ভূমিকম্প হওয়া হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। (সহিহ বুখারি-৯৮৯) কাজেই আমাদের উচিত, ভূমিকম্প বা যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখলে আল্লাহর শরণাপন্ন হওয়া, আল্লাহর আজাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা এবং আখিরাতের সম্বল আহরণের চেষ্টা বাড়িয়ে দেওয়া। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন।