ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলায় অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া এই হামলায় আহত হয়েছেন ৯০ জনেরও বেশি। নিহতদের মধ্যে আছেন ছয় শিশু এবং তিন নারী। এছাড়া সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের রকেট ফোর্সের প্রধান ও তার সহকারীও নিহত হয়েছেন। এ খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।
খবরে জানানো হয়, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকেও ইসরাইলে পাল্টা রকেট হামলা চলছে। এতে অন্তত এক ইসরাইলি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে মিশর। কিন্তু কোনো পক্ষই উসকানি বন্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে গত আগস্ট মাসের পর দুই পক্ষের মধ্যে সবথেকে বড় সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
এই সহিংসতার মধ্যেই একটি সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এসময় তিনি বলেন, আমরা আক্রমণাত্মক এবং প্রতিরক্ষামূলক দুই ধরনের পদক্ষেপের মধ্য দিয়েই যাচ্ছি। কেউ যদি আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তার রক্ত ঝড়বেই।
সম্প্রতি ইসরাইলের হামলায় নিহত হয়েছেন ইসলামিক জিহাদের নেতা আলি ঘালি এবং আহমেদ আবু ডাক্কা। এর মধ্য দিয়ে গত মঙ্গলবারের পর মোট পাঁচ শীর্ষ নেতাকে হারালো সংগঠনটি। মিশর জানিয়েছে, তারা দুই পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্থাপনের চেষ্টা করছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের সকল প্রচেষ্টা বিফলে গেছে।
জার্মানি ও ফ্রান্সের তরফে দুই পক্ষকে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে সংঘাত বন্ধের জন্য বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে উভয় পক্ষ। ইসলামিক জিহাদ চায়, ইসরাইল অবিলম্বে তাদের নেতাদের হত্যা করা বন্ধ করবে। যদি কোনো যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হয়, ইসরাইলকে অবশ্যই এসব গুপ্তহত্যা থামাতে হবে।
গত তিন দিনে ইসরাইল পাঁচ ইসলামিক জিহাদ নেতাকে হত্যা করেছে এবং দাবি করেছে যে, তাদের হত্যার অধিকার ইসরাইলের রয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে ইসরাইলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ইসলামিক জিহাদকে অবিলম্বে রকেট হামলাসহ সবধরনের আক্রমণ বন্ধ করতে হবে।