আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর। বিশ্বকাপের আগে কেবল মাত্র জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে শেষ হবে সিরিজটি। যার ফলে প্রায় ২০ দিনের মতো ম্যাচ না খেলে থাকতে হবে নাজমুল হোসেন শান্তদের।
ম্যাচ অনুশীলনের যাতে ঘাটতি না হয় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদেরই মাটিতে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ হবে ২১ মে। বাকি দুই টি-টোয়েন্টি হবে ২৩ এবং ২৫ মে। সবগুলো ম্যাচ হবে টেক্সাসের হিউস্টনে। এদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের দুটিই হবে যুক্তরাষ্ট্রে।
যার ফলে বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খেলা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সহায়তা করবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। এর আগেও অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে খেলার অভিজ্ঞতা আছে টাইগাররদের। ২০১৮ সালে ফ্লোরিডায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন সাকিবরা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে কানাডার সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে যুক্তরাষ্ট্র। ৭ এপ্রিল মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। সিরিজের বাকি চারটি ম্যাচ হবে ৯, ১০, ১২, এবং ১৩ এপ্রিল। সবগুলো ম্যাচই হবে টেক্সাসের হিউস্টনে। এটিকেও বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে তারা।
বাংলাদেশ ও কানাডার বিপক্ষে সিরিজ আয়োজনের ঘোষণা দিতে পেরে রোমাঞ্চিত যুক্তরাষ্ট্রের বোর্ড প্রধান ভেনু পিসিক। তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে গুরুত্বপূর্ণ খেলাগুলো আমাদের দলের কম্বিনেশন ও পরিকল্পনা করতে বড় সহায়তা করবে। ম্যাচ আয়োজনের সমর্থন দেয়ায় আইসিসি, ক্রিকেট কানাডা এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’