সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩০ অপরাহ্ন




ফের বেড়েছে চালের দাম

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২২ ৬:১৪ am
Cooked rice steaming boiling boiled rice চাল চাউল ধান ভাত অন্ন চাল খাবার প্রধান খাদ্য রান্না সিদ্ধ সেদ্ধBoro paddy farmers Rice ধান আমন ধান কৃষক চাল
file pic

নিত্যপণ্যের বাজারে কোনও সুখবর নেই। আরেক দফা বেড়েছে চাল, তেল, আটা, ময়দা ও চিনির দাম। চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন,এক সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে মোটা চালসহ সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে।

সরকারের বিপণন সংস্থা-টিসিবি’র তথ্যমতে, চিকন চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে ৬৮ টাকা, মাঝারি বা পাইজাম চাল ২ টাকা বেড়ে ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা এবং মোটা চালের কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছে, টিসিবির তথ্যের চেয়ে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেশি দামে চাল বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে প্যাকেট আটা কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা, আর খোলা আটা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট ময়দা কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া ৭২ টাকার ময়দা এ সপ্তাহে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৮০ টাকা কেজি দরের প্যাকেট ময়দা এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা করে।

বেড়েছে গুঁড়ো দুধের দামও। ৭৫০ টাকা কেজি দরের ডানো গুঁড়ো দুধ বিক্রি হচ্ছে ৮২০ টাকা দরে। ৭৫০ টাকা কেজি দরের ডিপ্লোমা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। একইভাবে অন্যান্য গুঁড়ো দুধের দামও বেড়েছে।

গত ১৭ নভেম্বর থেকে সয়াবিন তেল ও চিনির দাম আরও বেড়েছে। এখন সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। আগের চেয়ে কেজিতে বেড়েছে প্রায় ১২ টাকা। আর প্যাকেটজাত চিনি কেজিতে ১২ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ১০৭ টাকায়। যদিও বাজারে নির্ধারিত দামের তেল পাওয়া গেলেও চিনি কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। সরবরাহ সংকটের কারণে বাজারভেদে চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব দোকানেই নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি।

বাজারে প্রতিকেজি আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০-১১০ টাকা। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৫-১০ টাকা কমে ৪০-৫০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৫ টাকা কমে ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকা ও খাসির মাংস ৯০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, সোনালি মুরগি ২৫০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১২০ টাকা, আর হাঁসের ডিম প্রতি ডজন ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে শীতকালীন সবজি প্রচুর থাকলেও সে অনুযায়ী দাম কমেনি। এ নিয়ে ক্রেতাদের অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যদিও দোকান ভাড়া ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধিকে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বলছেন খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা।

খুচরা বাজারে পেঁপে ৩০ আর মুলা ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন অন্যান্য সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় কেনাবেচা চলছে। কিছু সবজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে শিম, পটলের তুলনায় অন্য সবজির দাম বেশি। পাকা বা আমদানি করা টমেটোর কেজি ১১০ থেকে ১২০, গাজর ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি। গোল বেগুন ৮০ টাকা, নতুন শিম ৮০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, উস্তে ৬০, পুরোনো আলু ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, কচুর গাদি ৬০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ ৫০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা এবং কাঁচা কলা ২৫ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD