‘দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে’ বলে বেড়ানো বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছেন, যারা নিজেদের বুদ্ধিজীবী বলে পরিচয় দেন, জ্ঞানী-গুণী বলে পরিচয় দেন। তাদের মুখেও শুনি- দেশে নাকি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। এখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে মিলিটারি ডিক্টেটরদের সময় যারা মার্শাল ল’ দিয়ে রাষ্ট্র চালিয়েছিল, সেটাকেই কি তারা গণতন্ত্র বলতে চান? ওটাই কি তাদের গণতান্ত্রিক ধারা ছিল?’
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাদের জন্ম হয়েছে অবৈধভাবে, ক্ষমতা দখল করে, মার্শাল ল’ এর মধ্য দিয়ে। তারা আবার আমাদের গণতন্ত্রের ছবক দেয়, পরামর্শ দেয়। তারা নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবে। মার্শাল ল’ দিয়ে, সারারাত কারফিউ দিয়ে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে, তারা দেশবাসীকে কীভাবে গণতন্ত্র দেয় আর কীসের গণতন্ত্র দেয়, তা আমি বুঝি না।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে বলে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়। হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পালা শুরু হয়। আর সেটা করতে গিয়ে অবৈধ মিলিটারি ডিক্টেটর সেনাবাহিনীর বহু মুক্তিযোদ্ধা অফিসার, হাজার হাজার সৈনিককে হত্যা করে। বিমানবাহিনীর সদস্যদের হত্যা করে।
‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অকথ্য নির্যাতন করে। তাদের গ্রেফতার করে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর কারাগারে নিক্ষেপ করে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা ক্ষমতায় বসে একটা দলও গঠন করে ফেলে এবং মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে’ বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টার পর গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির এ বৈঠক হয়। এতে দলটির সাধারণ সম্পাদকসহ জাতীয় কমিটির সদস্যরা অংশ নেন।