বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৫ অপরাহ্ন




খানজাহান আলীর (রহ.) বসতভিটা খননে পাওয়া প্রত্নবস্তুর প্রদর্শনী

আউটলুকবাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩ ১২:৩৭ pm
খানজাহান আলীর (রহ.) বসতভিটা খনন প্রত্নবস্তুর প্রদর্শনী
file pic

বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হজরত খানজাহান আলীর (রহ.) বসতভিটা খননে প্রাপ্ত প্রত্নবস্তুর প্রদর্শনী হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকালে সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের সুন্দরঘোনা গ্রামে বসতভিটার ঢিবিতে প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।

২০০১ সালে এখানে প্রথমবার প্রত্নতাত্ত্বিক খনন পরিচালনা করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। এরপর ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ১২ বার খননে ঢিবিটিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ৬০০ বছর আগের উলুঘ খানজাহান (হজরত খানজাহান (রহ.)) আমলের নানা স্থাপনা ও ইট বিছানো সড়ক ছাড়াও আগে ও পরের বিভিন্ন যুগের স্থাপনা এবং বসতির নিদর্শন রয়েছে।

এখানে পাওয়া স্থাপত্য, মৃৎপাত্র, নানা তৈজস ও উপকরণ থেকে ধারণা করা যায়, সেই সময়ে এখানে বসবাসকারীদের একটি উন্নত রুচিবোধ ছিল। নির্মাণশৈলী ও শৈল্পিকতায় তার প্রকাশ পেয়েছে।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের গত ৯ ফেব্রুয়ারি আবারও খানজাহান আলীর (রহ.) বসতভিটায় খনন শুরু হয়। এই খননকাজে প্রত্নতত্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের ১০জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। এদের পাশাপশি খনন কাজে দক্ষ শ্রমিকরাও অংশ নেন। মঙ্গলবার এই খননকাজ শেষ হয়।

৪০ দিনের এই খননে বিভিন্ন ইমারতে দেয়াল ও সংযোগ দেয়াল, পাকা মেঝে, প্রাচীন রাস্তার ধ্বংসাবশেষ, ইটের নির্মিত পাকা ড্রেন, বিভিন্ন যুগের ইটের সলিং, তৈল প্রদীপ, আয়রন নেইল, টাইলস, টেরোকোটা সমৃদ্ধ পাত্র, মাটির তৈরি স্প্রিং কলার, মাটির তৈরি পানি নির্গমন নল পাওয়া গেছে।

খননে প্রাপ্ত এসব প্রত্নবস্তু পরে জাদুঘরে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক লাভলি ইয়াসমিন।

তিনি বলেন, ‘খানজাহান আলীর বসতভিটা হিসেবে সংরক্ষিত এই প্রত্নস্থলটিতে বেশ কয়েকবার খনন করা হয়েছে। এবারের খননে প্রাচীন দেয়াল, মেঝে, পয়ঃনিষ্কাশন প্রণালীর নালা, পোড়ামাটির তৈরি পাইপসহ বিভিন্ন স্থাপত্য নিদর্শন প্রদীপদানি, পোড়ামাটির পুঁতি, লাল-কালো ও ধূসর বর্ণের মৃৎপাত্র, প্লেট, গ্লাস, পিরিচ, নল, টাইলস, অলংকৃত ইটসহ বিভিন্ন প্রত্নবস্তু পাওয়া গেছে। এই প্রদর্শনী শেষে প্রত্নবস্তুগুলো বাগেরহাট জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে।’

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, ‘পৃথিবীর প্রাচীন শহরের মধ্যে খলিফাতাবাদ অন্যতম। যা কালের বিবর্তনে বাগেরহাট নাম ধারণ করেছে। বাগেরহাটের ইতিহাস, ঐহিত্য অনেক প্রাচীন ও সমৃদ্ধ। প্রত্মসম্পদে ভরপুর এই জেলা। এই জেলাকে পর্যটকদের জন্য আরও বেশি আকর্ষণীয় করতে প্রত্মসম্পদ বিষয়ে গবেষণা বাড়াতে হবে।’ এ জন্য প্রত্মতত্ত্ব অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাসনিম, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনার আঞ্চলিক সহকারী পরিচালক মো. গোলাম ফেরদৌস, ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আখতারুজ্জামান বাচ্চু, বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টডিয়ান মোহাম্মাদ যায়েদসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD