দেশে অনিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিমভাবে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। তাই তারা কারসাজি করার সুযোগ পাচ্ছে। শক্ত হাতে তাদের দমন করতে হবে। এছাড়া সরকারের বাজার তদারকি সংস্থাগুলোর মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। যে যার মতো তদারকি করছে। এ কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান এসব কথা বলেন।
গোলাম রহমান বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে- সেগুলো আগুন নেভানোর মতো। আগুন লাগার কারণগুলো দূর না করে শুধু নেভানোর চেষ্টা করা হলে তা কখনো ফলপ্রসূ হবে না। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে মূল্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পলিসি থাকতে হবে। সেই পলিসি না থাকলে শুধু পণ্যের দাম ঘোষণা করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে মনে হয় না।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি আলু, ডিম, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল ও চিনির যে নতুন দাম সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে। মুক্তবাজার অর্থনীতির বাস্তবতায় এটি বাস্তবায়ন সহজ নয়। এজন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে এবং পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয় সরকারকে সেদিকে কঠোর নজরদারি করতে হবে। কোনো ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান বাজার অস্থিতিশীল করলে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে ভোক্তারা সুফল পাবে।
গোলাম রহমান বলেন, বাজারে পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকারকে প্রয়োজনে নিত্যপণ্য আমদানি করতে হবে। আর এসব পণ্য টিসিবির মাধ্যমে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ অসাধু ব্যবসায়ীরা কখনো ভোজ্যতেল, কখনো চিনি, কখনো পেঁয়াজ, আদা, ডিম, কাঁচামরিচ ইত্যাদি পণ্যের সরবরাহে সংকট তৈরি করে হাজার হাজার কোটি টাকা ভোক্তার পকেট থেকে লুটে নিচ্ছে।
অনেক সময় সরকারের কিছু নীতিও অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে অতিমুনাফার সুযোগ করে দেয়। এছাড়া সরকারের তদারকি সংস্থাগুলোর সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন আছে। আর বড় অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার নজিরও নেই বললে চলে। বাজারে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এসব সীমাবদ্ধতা দূর করতে হবে। [যুগান্তর]