তা যদিও কেউ কারো প্রয়োজনে নেন বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের নাগরিকত্ব। সেটা যে পরিবারই হোক না কেন, তাতে কারো মাথাব্যথা হওয়া, ক্যাটাঙ মারা কি ভালো? এখানে দল রাজনীতি বলে কোনো কথা না, এখানে ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির কথা। আপনি হয়তো রাজনীতি বোঝেন, আমি রাজনীতি বুঝি না। একজন ব্যক্তি হিসেবে একজন ব্যক্তির সাথে কথা বলছি। দেশ যেমন যখন যেই চালায়, সবাই তার হয়ে দেশের কাজে সহযোগিতা করতে হয়। আবার দেশের অভিভাবক প্রধান যিনি হবেন, ক্ষমতায় থাকবেন, তারও বুঝতে হবে, মেনে নিতে হবে, দল, মত, জাতি, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষকে তিনি বলবেন- আমার।
বলবেন- আমি সকল মানুষের অভিভাবক-এর দায়িত্ব নিলাম বা নিয়েছি। এইভাবে কাজ না করে, প্রতিশোধ নেয়া এবং দেশের ঐতিহ্যগুলো ধ্বংস করি। এটা তো দেশ জাতি ব্যক্তি সার্বিক পর্যায়ের অকল্যাণ। অমঙ্গল। এটা বন্ধ করতে, কারো না কারো তো সেক্রিফাইস, প্রাথমিক পর্যায়ে করতেই হবে। ছাড় দিতেই হবে। নইলে দেশের স্থিতিশীল পরিস্থিতি সুন্দর পরিবেশ ফিরবে কি করে? সবাই যদি নেবো নেবো, খাবো খাবো করে, তো দেবে কে? বরং সবাই সবার সহযোগিতা করার মধ্যেই সকল সেফা আছে। এখন কুকুর যদি মানুষরে কামড়ায়, মানুষও কি কুকুররে কামড়াবে? আল্লাহর নবীর শিক্ষা, রমজানের দীক্ষা কিন্তু ওইটা নয়। হাদিসে বা যে কোনো ধর্মে, পরচর্চা করা, শত্রুতা করা, কুটনামি করা, কান ভাঙানি দেওয়া প্রভৃতি অপকর্মের শামিল, এসব উস্কানিমূলক উৎসাহ দিতে নিষেধ আছে।
আল্লাহকে পাওয়ার অনেকগুলো রাস্তা। আমরা নাহয় বাংলাদেশিরা হিংসা মুক্ত, পরশ্রীকাতর মুক্ত, ব্যভিচারী, অন্যায় মুক্ত জীবন গড়ে, মহান আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে, সাফল্য অর্জন করি, বা সেটা করতে পারি। ক্ষমা পরম ধর্ম। ক্ষমা করে দিতে পারি, সুন্দর সুষ্ঠু পথে ফেরাতে, আল্লাহর রাস্তায় ফেরাতে, ভুল করা আল্লাহর অধম বান্দাদের। এতেও আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ, আল্লাহর বরকতময় প্রেম, ভালোবাসা সুনিশ্চিতভাবে পাওয়া যায়।
দুইদিনের দুনিয়ায় আর অশান্তি করে সময় নষ্ট না করি। এই ২০২৫-এর রমজানুল মোবারক, পবিত্র রমজান, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস-এর অভিভাবকত্বের। এই রমজান সকল মানুষের শান্তি ফিরাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে কবুল করুন। ঘরে ঘরে শান্তিময় জীবন লাভবান হয়ে, ভালো থাকুক আমার বাংলাদেশের সকল মানুষ। আমিন।
লেখক: বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক