রাবারকে কৃষিপণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। একই সঙ্গে সম্ভাবনাময় খাতটিকে রক্ষায় সরকারের বিশেষ উদ্যোগ চায় সংগঠনটি। সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় তুলে ধরেন সংগঠনটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও এফবিসিসিআইর পরিচালক সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন। উপস্থিত ছিলেন রাবার গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুহাম্মদ হারুন, মহাসচিব মনসুর আলম, সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন, সাবেক সহসভাপতি জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের সদস্য সলিমুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে রাবার খাতের বিকাশে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, বিভিন্ন দেশ রাবারকে কৃষিপণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও তা হয়নি। ফলে এ খাতের উদ্যোক্তারা সরকারের দেওয়া কৃষিবিষয়ক প্রণোদনা সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
রাবার বাংলাদেশের ‘সাদা স্বর্ণ’ নামে পরিচিত উল্লেখ করে মোয়াজ্জম হোসেন বলেন, দেশের বাজারে রাবারের বিভিন্নমুখী ব্যবহার রয়েছে। যানবাহনের টায়ার, টিউব, জুতা, সেন্ডেল, হোসপাইপ, ফোম, খেলার সামগ্রী শিল্প কারখানায় রাবারের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু সম্ভাবনাময় এ খাত কিছু নীতি সহায়তার অভাবে অবহেলিত হয়ে আছে। উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ প্রদানের নিশ্চয়তার পাশাপাশি বিদ্যমান কর ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা এবং একই সঙ্গে স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় আমদানি করা রাবারে শুল্ক্ক বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বাগান মালিকরা বলেন, দেশের রাবার শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে। সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামে বেশ কয়েকটি বাগানের ওপর ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবের কারণে রাবার শিল্প ধ্বংসের মুখোমুখি হচ্ছে। একটি প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে স্থানীয় লোকজন এ শিল্পের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে নানামুখী অপতৎপরতা চলছে। এ ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাবার খাতকে রক্ষায় সরকার বিশেষ উদ্যোগ না নিলে এ খাত বড় ক্ষতির মুখে পড়বে। লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপও জরুরি।
রাবার শিল্পের সম্প্রসারণ এবং গুণগত মানসম্পন্ন রাবার উৎপাদনের জন্য বিদ্যমান সমস্যা নিরসনসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। সেসঙ্গে বিদেশ থেকে উচ্চ ফলনশীল বীজ আমদানিতে কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্নিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সংগঠনের নেতারা।