ভালোবাসা দিবস, পহেলা ফাল্গুন ও আরও কিছু দিবস সামনে রেখে গোলাপ ফুল বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছে সাভারের বিরুলিয়ার গোলাপগ্রাম। অন্য বছরের তুলনায় এবার ফুলের আবাদ ভালো হওয়ায় বাড়তি লাভের আশায় বাগান পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত ফুলচাষিরা। চলতি মৌসুমে প্রায় ২০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উপজেলা কৃষি অফিস।
গোলাপগ্রাম নামে পরিচিত শ্যামপুর, বাগ্নিবাড়ি, মৈস্তাপাড়া, সাদুল্লাহপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাগানগুলোতে শোভা পাচ্ছে লাল গোলাপ। দিগন্তজোড়া প্রান্তরে গোলাপের লাল রঙ প্রকৃতিতে এনেছে অপরূপ সৌন্দর্য।
বাগানে হিমেল হাওয়ায় গোলাপের হিন্দোল যেন এখন বাড়তি পাওয়া। তাইতো প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থী ছুটে আসছেন প্রকৃতির এই নিখাঁদ সৌন্দর্য উপভোগ করতে। বাগান থেকে তাজা গোলাপ কিনে উপহার দিচ্ছেন প্রিয়জনকে।
তানিয়া আক্তার নামে এক দর্শনার্থী বলেন, ‘ফেসবুকে গোলাপ গ্রামের সৌন্দর্য দেখেছি। অনেক আগে থেকেই এখানে আসার পরিকল্পনা করেছিলাম। পরিবারের সঙ্গে গোলাপগ্রাম দেখতে এলাম। অনুভূতিটা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
‘বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শুধু গোলাপ আর গোলাপ। এখানকার সৌন্দর্যে মন ভরে গেছে। আবার দোকানের চাইতে এখানে গোলাপের দামও অনেক কম। আমরা ৩-৪ টাকা পিস গোলাপ কিনেছি। খুব ভালো লাগছে।’
শ্যামপুর এলাকার ফুল চাষি সাকিবুল হাসান বলেন, ‘আমার তিন বিঘা জমির ওপর বাগান আছে। প্রত্যেক বিঘা থেকে প্রতিদিন আমি ৫০০-৬০০ গোলাপ তুলতে পারি। এবার বাগানে ফলন খুব ভালো হইছে। আমাদের ফুলের বাজারও খুব ভালো।
‘বর্তমানে ৩-৪টাকা পিস গোলাপ বিক্রি হচ্ছে বাগান থেকে। প্রতিদিনি আমি ১০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করছি। সামনে পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস আছে। আশাকরি ২-৩ লাখ টাকার ফুল আমি বিক্রি করতে পারব।’
সাভার উপজেলা কৃষি অফিসার নাজিয়াত আহমেদ বলেন, ‘বিরুলিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ২৮০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ চাষ হয়। এর মধ্যে ২৫০ হেক্টর জমিতেই শুধুমাত্র বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ চাষ হয়ে থাকে। এবছর বিরুলিয়ায় গোলাপের ফলন অনেক ভালো হয়েছে।
‘অন্যান্য বছর ৭-৮ মাসের মৌসুমে ১০-১২ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর আমরা প্রায় ২০ কোটি টাকা ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।