বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন




রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদন চুক্তি সই

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: শনিবার, ৬ মে, ২০২৩ ১০:২৬ am
পরমাণু RNPP বিদ্যুৎ Rosatom Pabna Ruppur Rooppur Nuclear Power Plant PROJECT পাবনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিউক্লিয়ার ইউরেনিয়াম রোসাটম
file pic

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জ্বালানি (ইউরেনিয়াম) উৎপাদন প্রস্তুতি সনদ সংক্রান্ত চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ ও রাশিয়া। আগামী অক্টোবরের মধ্যে দেশে এই কেন্দ্রের জ্বালানির প্রথম চালান বাংলাদেশে আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শুক্রবার ৫ মে রাশিয়ার সাইবেরিয়ান অঞ্চলের রাজধানী নভোসিভিরসক শহরে এই সনদে সই হয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রোসাটমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান টিভিইএল ফুয়েল কোম্পানির দফতরে এ প্রটোকল সই হয়। প্রটোকলে বাংলাদেশের পক্ষে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মো. শৌকত আকবর এবং রাশিয়ার পক্ষে এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ ভি ডায়েরি সই করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান, প্রকল্পের উপ-পরিচালক ড. জাহেদুল হাছান, প্রকল্পের অর্থ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান অলক চক্রবর্তী, নিউক্লিয়ার কাউন্সিলর শুভাশিস সর্দার।

রূপপুরের জন্য পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদন করছে টিভিইএল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিভিইএল পারমাণবিক জ্বালানি (ইউরেনিয়াম রড) বিক্রি করে।

জানা যায়, ২০১৫ সালে ঢাকা ও মস্কোর মধ্যে স্বাক্ষরিত সাধারণ চুক্তি অনুসারে রাশিয়া প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহ করবে। ওই চুক্তির অংশ হিসেবেই রাশিয়া ৩৬ মাস জ্বালানি নিরাপত্তা দেবে। অর্থাৎ উৎপাদনের প্রথম দিন থেকে পরবর্তী তিন বছর জ্বালানির জন্য আলাদা করে অর্থ পরিশোধ করতে হবে না।

বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, এই সনদে সই হওয়ার পর এখন পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদন শুরু হবে। আগামী অক্টোবরের শেষ দিকে এই জ্বালানি দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। পারমাণবিক এই জ্বালানি আমদানি ও সংরক্ষণ সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নিউক্লিয়ার ক্লাবে যুক্ত হবে। আইএইএ’র নির্দেশনা মেনেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি আমদানি, পরিবহন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মাণাধীন দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে রাশিয়ার অর্থায়ন, ডিজাইন ও কারিগরি সহায়তায় ভিভিআর-১২০০ মডেলের দুটি পারমাণবিক চুল্লি স্থাপিত হবে। ২০১৭ সালে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এর পর থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। প্রথম ইউনিটের চুল্লি স্থাপনের কাজ শুরু হওয়ার এক বছরের মাথায় দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি স্থাপন শুরু হয়। ২০২৪ সালে প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD