বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন




৭ম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ে হলো ৯ম শ্রেণির ছাত্রের

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০২৩ ৫:২৪ pm
Children পাত্রী Child Marriage বাল্য বিবাহ বাল্য বিবাহ মুসলিম muslim girl girls Rape ধর্ষণ রেপ যৌন নিগ্রহ নির্যাতন Homosexuality sexual sex সমলিঙ্গ পুরুষ নারী উভকামী রুপান্তরিত লিঙ্গ সমকামিতা বিয়ে-শাদী বিয়ে শাদী নিকাহ তালাক নিবন্ধন রেজিস্ট্রার কাজী লাইসেন্স মুসলিম বিবাহ মুসলিম ম্যারেজেস অ্যান্ড ডিভোর্সেস রেজিস্ট্রেশন husband wife husband wife woman female partner marriage divorce widow spouse bride married relationship groom bridegroom বর মহিলা বউ স্বামী স্ত্রী স্বামী-স্ত্রী দাম্পত্য দম্পতি বিয়ে
file pic

৭ম ও ৯ম শ্রেণির ছাত্র ও ছাত্রীর বিয়ে দিলেন সিরাজগঞ্জের মেছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ও তার বড় ভাই সাবেক ইউপি সদস্য সোহরাওয়ার্দী ভূঁইয়া। বাল্যবিয়ের বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।

সম্প্রতি সদর উপজেলার মেছড়া ইউনিয়নের খাসবালিয়া মেন্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। পাত্রী স্থানীয় রুপসা হাইস্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী খাসবালিয়ামেন্দা গ্রামের রফিকুল মিস্ত্রির কন্যা রোজিনা খাতুন ও পাত্র একই স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্র একই গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে তুহিন তুষার।

মঙ্গলবার (১৬ মে) সকালে মেছড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বাল্য বিবাহের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমার ওয়ার্ডে বাল্য বিয়ে দেওয়া হচ্ছে শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে না দেওয়ার জন্য নিষেধ করি। আমার কথা না শুনে চেয়ারম্যান ও তার ভাই সোহরাওয়ার্দী জোরপূর্বক কাজী ডেকে এনে বিয়ে দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশকিছু দিন ধরে তুষার ও রোজিনার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সেই সুবাদে গত ২৭ এপ্রিল প্রেমিক তুষার রোজিনাকে তার নানার বাড়ি থেকে ওঠিয়ে নিয়ে আসে। পরে বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ও তার বড় ভাই সোহরাওয়ার্দীসহ এলাকার মাতব্বরা মিলে গভীর রাতে গোপনে কাজীর মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে। পরদিন সকালে বাল্যবিয়ের বিষয়টি নিয়ে এলাকার আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়।

এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য সোহরাওয়ার্দী জানান, ঘটনার সময় আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তুষারের পরিবার। ছেলের পরিবারের মাধ্যমে কাজী আব্দুর রহমানকে ডেকে এনে কাবিন ও মাওলানা আলামিনকে দিয়ে বিয়ে পড়ানো হয়। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক আবুল হোসেন, মিঠু, পলাশসহ ছেলে ও মেয়ের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, মেয়ের পরিবার বাল্য বিয়ে দিতে অস্বীকার করায় জোরপূর্বক সোহরাওয়ার্দীসহ স্থানীয় মাতব্বরা বিয়ে দিয়েছেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। খোঁজখবর নিতে ওই এলাকায় তিনি পুলিশ পাঠাবেন। ঘটনাটি ইউএনও স্যারকে অবগত করার জন্য বলেন তিনি।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাশুকেতা রাব্বি জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনিও।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD