দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বছরের তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে বুধবার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭৬৫ কোটি টাকা। তিন মাসের বেশি সময় পর এটিই ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে চলতি বছর দুবার আজকের চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ঢাকার বাজারে।
ডিএসইর লেনদেনের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছর ঢাকার বাজারে সর্বোচ্চ লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৯৩৪ কোটি টাকা, সেটি হয়েছিল গত ১৮ জানুয়ারি। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন ছিল ৯০০ কোটি টাকা, সেটি হয়েছিল ১৭ জানুয়ারি। এরপর লেনদেন আর কখনো ৭৬৫ কোটি টাকার ওপর ওঠেনি। বরং বছরের শুরুতেই লেনদেন নেমে গিয়েছিল দেড় শ কোটি টাকার নিচে। বছরের শুরু থেকেই শেয়ারবাজারে একধরনের মন্দাভাব চলছিল। সেই মন্দাভাব কাটিয়ে বাজারে কিছুটা গতি সঞ্চার হয়েছে ঈদের ছুটি শেষে।
ঈদ–পরবর্তী তিন কার্যদিবসে সূচক ও লেনদেনে ইতিবাচক ধারা দেখা যাচ্ছে। বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঈদের পর বাজারে ক্রেতা বেড়েছে। নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীদের অনেকে সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। তাতে নতুন বিনিয়োগ আসছে। তাই শেয়ারের দাম ও লেনদেন উভয়ই ঊর্ধ্বমুখী। গত তিন কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৬৬ পয়েন্টে। এর মধ্যে আজ সূচকটি বেড়েছে প্রায় ৩ পয়েন্ট।
বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে হাতবদল হওয়া শেয়ার ও ইউনিটের পরিমাণও। ঢাকার বাজারে বুধবার ১১ কোটি শেয়ার ও ইউনিটের হাতবদল হয়। আর এদিন নিষ্পন্ন হওয়া ক্রয়াদেশ বা হাওলা সংখ্যাও বেড়ে দেড় লাখ ছাড়িয়েছে। এর আগে সবশেষ ২৫ জানুয়ারি ঢাকার বাজারে ক্রয়াদেশ বা হাওলা সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার।
ডিএসইতে বুধবার ৩৪৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়। তার মধ্যে প্রতিদিনের মতো দাম অপরিবর্তিত থাকা কোম্পানির সংখ্যাই বেশি, সেটি ২১২টি। যেসব শেয়ারের দাম নিয়ন্ত্রক সংস্থার বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে, সেগুলোর দামই মূলত অপরিবর্তিত থাকছে। এর বাইরে লেনদেন হওয়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৪টির আর কমেছে ৭২টির।